মার্চ ২৯, ২০২৪ ১২:৩৪ পূর্বাহ্ণ || ইউএসবাংলানিউজ২৪.কম

ফাঁসির দড়িতে মুফতি হান্নানসহ তিন জঙ্গি

১ min read

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বুধবার রাত ১০টায় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশের শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নান ও শরীফ শাহেদুল বিপুলকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।

একই সময়ে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে তাদের আরেক সহযোগী দেলোয়ার হোসেন রিপনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় বলে জ্যেষ্ঠ জেল সুপার ছগির মিয়া জানান।

কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আদালতের রায় অনুযায়ী তিন জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।”

হান্নান ও তার দলের জঙ্গিরা ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হযরত শাহজালালের মাজার প্রাঙ্গণে ওই গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীকে হত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে।

ওই ঘটনায় আনোয়ার চৌধুরী প্রাণে বেঁচে গেলেও দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজন নিহত হন। সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অন্তত ৪০ জন আহত হন সেদিন।

ওই হত্যাকাণ্ডের দায়ে হান্নান, বিপুল ও রিপনের মৃত্যুদণ্ডের রায় সর্বোচ্চ আদালতেও বহাল থাকে। সেই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন নাকচ করে আপিল বিভাগ বলে, “তারা যে অপরাধ করেছে তা পূর্বপরিকল্পিত একটি অপরাধ। ব্রিটিশ কূটনীতিবিদ ও তার সফরসঙ্গীদের হত্যা করার জন্যই এ হামলা চালানো হয়েছিল। এ অভিযোগের দায় থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া যায় না।”

আদালতের ওই রায় এমন এক দিনে কার্যকর হল, যখন বাংলাদেশের মানুষ বৈশাখ বরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল ওই বর্ষবরণের উৎসবেই রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় নিহত হন দশজন।

সেই মামলাতেও নিম্ন আদালতে মুফতি হান্নানের ফাঁসির রায় এসেছে। রায়ের বিরুদ্ধে তার করা আপিলের ওপর শুনানি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে হাই কোর্টে।

বলা হয়, বিশ শতকের শেষ বছর যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে হরকাতুল জিহাদের বোমা হামলার মধ্য দিয়েই বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার সূচনা হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টাসহ হরকাতুল জিহাদের ১৩টি নাশকতামূলক ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার পেছনে মূল ব্যক্তি হিসেবে মুফতি হান্নানকে দায়ী করা হয়।

শেখ হাসিনার নিজের জেলা গোপালগঞ্জেই মুফতি হান্নানের বাড়ি৷ পাকিস্তানের মাদ্রাসায় পড়তে গিয়ে তার জঙ্গিবাদে হাতেখড়ি। আফগানিস্তান সীমান্তে যুদ্ধেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি।

আর মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত তার দুই সহযোগীর মধ্যে শরীফ শাহেদুল বিপুলের বাড়ি চাঁদপুর সদরে; দেলোয়ার হোসেন রিপনের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায়।

সিআইডি অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক আব্দুল কাহার আকন্দ গতবছর বিবিসিকে বলেন, “হান্নানের বিশেষত্ব হল- তিনি আফগান স্টাইলে বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার তৎপরতা চালচ্ছিলেন। প্রথমে দেশি বোমা ব্যবহার করলেও পরে পাকিস্তান থেকে গ্রেনেড সংগ্রহ করেন। এছাড়া বোমা বানানো এবং আক্রমণ বিষয়েও তার সামরিক প্রশিক্ষণ আছে এবং এ নিয়ে প্রশিক্ষণও দিতেন তিনি।”

২০০৫ সালের ১ অক্টোবর ঢাকার বাড্ডা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।১৭ মামলার আসামি হান্নান ও তার সহযোগীদের মুক্ত করতে গত ৬ মার্চ টঙ্গীতে প্রিজন ভ্যানে হামলার ঘটনাও ঘটে।

Comments

comments

More Stories

১ min read
১ min read
১ min read
error: Content is protected !!