মার্চ ২৯, ২০২৪ ৫:২৬ অপরাহ্ণ || ইউএসবাংলানিউজ২৪.কম

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কামাল বাজার ইউনিয়নকে নিয়ে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী একরামুল হকের স্বপ্ন

১ min read

একটি অত্যাধুনিক মডেল ই্উনিয়ন গড়ে তুলতে চান এই তরুণ। তার চোখে জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন। এই প্রজন্মের একজন শাণিত ব্যক্তি মোহাম্মদ একরামুল হক। তিনি দক্ষিণ সুরমা থানার ১০ নম্বর কামাল বাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। এলাকাবাসীর দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী তিনি। আগামী ৩১ জানুয়ারি ২০২২ সোমবার অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনে তার প্রতীক আনারস।

এই এলাকার জনকল্যাণে তিনি কাজ করে আসছেন গেল দশ বছর যাবৎ। পারিবারিকভাবে তিনি একজন তরুণ সমাজসেবক। এলাকায় সমাজসেবায় বিশেষ অবদান রয়েছে তার পরিবারের অনেকের। বিশিষ্ট দানবীর ও ইংল্যাণ্ডে মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আলহাজ্ব এম এ হাসিম, তার বড়চাচা।  একরামুল হক, একজন যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে এলাকায় উড্ডিন রেখেছেন মানবসেবার সেই পতাকা। ছাত্রজীবন থেকেই নিজেকে গড়ে তুলেছেন একজন সমাজকর্মী ও জনসেবক হিসেবে।

গেল দুই বছর যাবৎ বিশ্বের এই কঠিন মহামারী কালে এলাকায় চষে বেড়িয়েছেন এই তরুণ, তার পুরো টিম নিয়ে। যখনই ডাক পড়েছে,-অর্থ,খাদ্য, চিকিৎসা,পথ্য সামগ্রী নিয়ে ছুটে গিয়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষের পাশে। কোনো শংকাই দমাতে পারে’নি একরামুল হক’কে।

তার মেঝো চাচা মরহুম আলহাজ্ব এম এ মতলিব ছিলেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেশ গড়ার কাজে অগ্রণী ভূুমিকা রেখেছিলেন তিনি। ‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ’-সিলেট সদর ইউনিট কমাণ্ডের, কমাণ্ডার ছিলেন আলহাজ্ব এম এ মতলিব।

একরামুল হকের দাদা হাজী ইউনুস আলী ছিলেন ষাটের দশকে ইউনিয়নের মেম্বার। আজীবন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন সংগঠক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধেকালীন সময়ে সিলেট অঞ্চলের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ দেওয়ান ফরিদ গাজীর অন্যতম সহযোগী ছিলেন হাজী ইউনুস আলী। কামাল বাজার এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধা রিক্রুটে তিনি ছিলেন অন্যতম সমন্বয়ক। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে সেক্টর কমাণ্ডার মীর শওকত আলী সহ অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধাই হাজী ইউনুস আলীকে সম্মান জানাতে ছুটে এসেছিলেন তাদের বাড়ীতে।

একরামুল হকের সেজো চাচা আলহাজ্ব এম এ সালাম,দক্ষিণ সুরমা থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি। সিলেট-৩ আসনের বর্তমান এমপি  জনাব হাবিবুর রহমান হাবিবের নির্বাচন পরিচালনায় তিনি ছিলেন অন্যতম নীতিনির্ধারক। তার পিতা আলহাজ্ব এম এ কালাম, এলাকায় একজন ধ্যানী মানবসেবক হিসেবেই সুপরিচিত।

তরুণ একরামুল হক, সেই আলো হাতে নিয়েই পথ চলেছেন। রক্তে যার মানবকল্যাণ- সেই তরুণ, নিজেকে নিবেদন করতে চান নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে। বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব এম এ হাসিম কামাল বাজার এলাকা সহ সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলে অনেক স্থাপনা তৈরি করে দিয়েছেন।’হাসিমী কল্যাণ ট্রাস্ট’ এর  উদ্যোগে আলহাজ্ব লজ্জাতুননেসা উচ্চ বিদ্যালয়, গোপশহর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কামালবাজার আলীয়া মাদ্রাসা, ছমিপুর দাখিল মাদ্রাসায় ‘হাসিমী ভবন’ সহ অনেকগুলো বড় বড় কাজ করা হয়েছে। এছাড়াও সেতু,কালভার্ট,মসজিদ সহ অনেক জনকল্যাণমূলক কাজ তিনি নিজ এলাকায় সম্পাদনা করে দিয়েছেন। বাসিয়া নদীর তীরে ‘হাসিমী আনন্দ বাজার’ সহ গড়ে তোলা হয়েছে ‘হাসিমী মডেল স্কুল’। সরকার অনুমোদিত যে স্কুলটি প্রতিবছর ভালো ফলাফল নিয়ে প্রজন্মের জন্য আলো ছড়াচ্ছে।

এলাকায় তাঁর প্রবর্তিত ‘হাসিমী প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা’ তিন দশকের কাছাকাছি সময় ধরে শিক্ষার জ্যোতি ছড়িয়ে যাচ্ছে।এইসব কর্মকাণ্ডের অন্যতম সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন একরামুল হক। আপনি চেয়ারম্যান হিসেবে গণরায় পেলে এলাকার উন্নয়নে কী কী কাজ করতে চান? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেখুন- আমরা এখন ডিজিটাল যুগে বসবাস করছি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্টা জনাব সজীব আহমেদ ওয়াজেদ এই বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করে গড়ে তুলতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।আমি তাঁর হাতে হাত রেখে কাজ করতে চাই। আমি মনে করি আমাদের পূর্বসূরিরা একটি স্বাধীন বাংলাদেশ এনে দিয়েছেন ৩০ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে। এই বাংলাদেশকে নান্দনিক ভাবে সোনার বাংলা গড়ার দায়িত্ব আমাদের।আমি আমার ইউনিয়নের ঘরে ঘরে সেসব সেবা পৌঁছে দিতে চাই।’

এলাকার শিক্ষার উন্নয়নে আপনার পরিকল্পনা কি-জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি চাইবো, এলাকার কোনো ছাত্র-ছাত্রী যেন কোনো সমস্যার কারণে লেখাপড়া বন্ধ না করেন। তাদের শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া,এবং উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য আমার সাধ্য অনুযায়ী সকল প্রচেষ্টা আমি করবো। এলাকার বিত্তবান সকল শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্বের কাছে আমি সমস্যাগুলো তুলে ধরে সমাধানের চেষ্টা করবো। আমাদের সিলেট-৩ আসনের সম্মানিত এমপি জনাব হাবিবুর রহমান হাবিবের পরামর্শ ও সহযোগিতা-সাহায্য নিয়ে আমি সকল সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো।

আর কি কি পরিকল্পনা আছে আপনার ? এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী একরামুল হক বলেন, চিকিৎসা সেবার মান বাড়াতে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করবো। এলাকায় বিশিষ্ট চিকিৎসকদের আমন্ত্রণ জানিয়ে এনে ‘ফ্রি ফ্রাইডে ক্লিনিক’, ‘বিনামূল্যে চক্ষু শিবির’, ‘মাতৃস্বাস্থ্য ও পরিচর্যা সেবা ক্যাম্প’ – ইত্যাদি আয়োজন করবো। এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবকদের উন্নত কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ‘ভকেশনাল ট্রেনিং স্কুল’-এর ব্যবস্থা করার পরিকল্পনাও রয়েছে আমার। এজন্য আমাদের নিজস্ব ভবনও রয়েছে আমাদের মার্কেটে। অত্যন্ত স্বল্প ফি’তে কিংবা বিনামূল্যে এমন শর্টকোর্সের মাধ্যমে অনেক তরুণ-তরুণীকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা সম্ভব। যারা দেশে কিংবা বিদেশে দক্ষ মানবশক্তি হিসেবে কাজ করতে পারবেন। এটা আমাদের সকলেরই জানা-, দক্ষ ড্রাইভার,ইলেক্ট্রিশিয়ান,ওয়েল্ডার,প্লামবার,ফিটার,পেইন্টার, রাজমিস্ত্রী,কাঠমিস্ত্রী,মোটর মেকানিক, আইটি প্রফেশনাল, গ্রাফিকস ডিজাইনার, ওয়েব ডিজাইনার, ইত্যাদি অনেক পদের দেশে ও বিদেশে উচ্চ চাহিদা রয়েছে।

আমি আমার এলাকার তরুণদের আলোকিত করে গড়ে তুলতে চাই। খেলাধুলার উন্নয়নে গ্রামে গ্রামে উৎসাহ উদ্দীপনা বাড়াতে চাই। কামাল বাজার ইউনিয়নে অন্তত চারটি পাবলিক লাইব্রেরী গড়ে তুলতে চাই। মাদকমুক্ত একটি এলাকা গড়ে তুলতে চাই। যে এলাকার মানুষেরা অবসরে বই পড়ে, জ্ঞানার্জন করে সময় কাটাতে পারবেন। এবং এলাকার উত্তর প্রজন্মকেও সেই পথ দেখাবেন। এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে আমি সম্মানিত এমপি মহোদয়ের পরামর্শ নিয়ে কাজ করবো। কাটভার্ট, ছোট ছোট সেতু নির্মাণে উদ্যোগি হবো।’

কামাল বাজার ইউনিয়ন’টি আইনি জটিলতার মধ্য দিয়ে গিয়েছে গত প্রায় আঠারো বছর। এটাই এই ইউনিয়নের প্রথম নির্বাচন। তাই যেজন চেয়ারম্যান পদে আসবেন- তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একরামুল হক সেই দায়িত্বটি কাঁধে তুলে নিতে চাইছেন- এলাকার সর্বস্তরের মানুষের দোয়া,আশীর্বাদ ও ভালোবাসায়। নির্বাচন অবাধ,ফ্রি,ফেয়ার এবং সকল ভোটারের অংশগ্রহণে হোক এটাই চাইছেন কামাল বাজার এলাকাবাসী। এজন্যে তারা প্রশাসনের সু-দৃষ্টিও কামনা করেছেন।

Comments

comments

More Stories

১ min read
১ min read
১ min read

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!